খবর যেহেতু রটেছেই সে খবর রাষ্ট্র হতে বেশি সময় লাগে না। কুকথা ছড়ায় বাতাসের আগে।
বলরামের এসব নিয়ে কোনরকম ভাবান্তর নেই। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর রোদ এসে গায়ে পড়লে বলরাম মুচির বউ বাসন্তি উনুনে রান্না বসায়। রান্না বলতে দু মুঠো চালের মধ্যে দু-চারটা আলুসিদ্ধ। সরিষার তেলের শূন্য শিশি সিদ্ধ আলুর ওপর ধরে রাখতে রাখতে এক বিন্দু তেলও যখন পড়ে না তখন বলরাম তেলের আশা ছেড়ে দিয়েই খেতে বসে। বাসন্তি রাগে গরগর করতে থাকে।
মর্দা মানুষ! ছ্যা! তারে মর্দা মানুষ কইতে শরম করে আমার। এক শিশি তেইল আর দুই সের চাইল কিনার ক্ষেমতা থাহে না যার সে নাহি আবার ব্যাটা ছাওয়াল! ভিক্ষা কইরতে পারো না? একবেলা পেট ভরে ভাত দিবার মুরাদ নাই! মর্দা মানুষ! থু!
বলরাম বৌয়ের কথায় কান না দিয়ে ভাত গিলতে থাকে। তেল ছাড়া আলুভর্তা নতুন নয় এ সংসারে। বলরামের অসুবিধে হয় না। কোনোরকমে খাওয়া শেষ করে চৌকির নিচে রাখা বাক্স বের করে। বাসন্তির ক্রোধ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। খবরদার কইলাম! তুমি ওইডা নিয়া যাইবা না। ওই বাকসে হাত দিবা না কইতাছি! কী এমুন হাত্তিঘোড়া কামাই কইরা আনো? ওইডা থুইয়া ভিক্ষা কইরতে যাও তুমি।
বলরাম বেরিয়ে আসে চুপচাপ। দিনেদিনে বলরাম কেমন নির্বিকার মানুষে পরিণত হয়েছে। রাগ নেই, ক্রোধ নেই, প্রতিবাদের ভাষা নেই।
বলরাম জানে যে পুরুষের রোজগার নেই তার কথা বলার অধিকারও নেই। কাকে কী বলবে বলরাম? কোনো কোনো দিন এক সের চাল কেনার মত রোজগার হয় না তার। বলরামের সংসারে দুই মেয়ে, স্ত্রী আর বৃদ্ধ মা। পাঁচজনের সংসার কিভাবে চলে বলরাম জানে না। আজকাল জানার চেষ্টাও করে না। বেশি জানতে চাইলেই যত অশান্তি। যেখানে নিজে দুটো পয়সার যোগান দিতে পারে না সেখানে অশান্তি বাড়িয়ে লাভ কী?
তাছাড়া নিত্য দিনের অভাব বলরামের মাঝে এক ধরনের বৈরাগ্য তৈরী করেছে। সে জানে কোন প্রয়োজনই শেষমেশ আটকে থাকে না, পেটের ক্ষুধায় কেউ মারা যায় না। এরচেয়ে ঢের অভাব বলরাম ছোটবেলায় দেখেছে। মাটির পাত্র নিয়ে বলরাম কতদিন পড়শীর রান্নাঘরে বুভুক্ষুর মত বসে থেকেছে, ভাত রান্না করার সময় ভাতের ফেনটুকু তুলে দিবে এই আশায়। এখন তো তবু দিনে একবেলা হলেও ভাত জুটে। আগে বলরামের মা সারাদিন অন্যের বাড়িতে গাধার খাটুনি খেটে বলরামের জন্য এক থালা পোড়াদলা ভাত নিয়ে ফিরতো সন্ধেবেলায়। ওসব বেশিদিন আগের কথা নয়।
বলরামের বয়স এখন চল্লিশ। এই বয়সে প্রকৃতির খেয়ালও তো কম দেখলো না সে। সকালবেলা রোদ থাকে। তারপর হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে আসে। শুরু হয় বৃষ্টি তবে তুমুল বৃষ্টি নয়; গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। সারাদিন থাকে সে বৃষ্টি। মানুষ প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বেরোয় না। বৈদ্যতলা বাজারে প্রাচীন বটবৃক্ষের নিচে মাথার ওপর ছাতা বেধে বলরাম একের পর এক বিড়ি ধরায়। দুপুর গড়ায়, একটা কাকপক্ষীও আসে না এইদিক।
দেশে বার্মিজ জুতা নামছে। বৃষ্টি নামলেই ঘর থেকে বেরুনোর সময় সবাই বার্মিজ জুতা পরে বেরোয়। তাছাড়া অবস্থাও আর আগের মত নাই। জুতার ফিতে ছিঁড়ে গেলে নতুন জুতা কিনে ঘরে ফেরার সামর্থ্য এখন বৈদ্যতলার অনেকেরই আছে। কে আসে বলরাম মুচির কাছে জুতা সেলাই করতে?
তবু শহর বন্দরে মুচিদের কামাই খারাপ না। ওখানে জুতা পালিশ করায় বাবুরা, চামড়ার ব্যাগ সেলাই করায় সাহেবারা। টাকা পয়সাও ভালো দেয়। বলরামের খুড়তো ভাই আনন্দ মুচি রোজ জেলা শহরে যায়। এখান থেকে জেলা শহর মাত্র ঘণ্টা খানেকের পথ। আনন্দ এবছর নতুন টিনের ঘর তুলেছে। ত্রিশ হাজার টাকা পণ দিয়ে মেয়ে বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বলরাম কিছুতেই যেতে পারে না এই বৈদ্যতলা ছেড়ে, এই বটবৃক্ষের মায়া ছেড়ে। গাছের পাতার ফাক দিয়ে দু চার ফোটা বৃষ্টি বলরামের ছাতার ওপর এসে পড়ে। বলরাম গাছটার দিকে তাকায়, চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে তার।
এইখানে,এই বটবৃক্ষের নিচে বলরামের শৈশব কেটেছে, কৈশোর কেটেছে। বলরাম যেন বেঁচে আছে বৈদ্যতলার এই প্রাচীন বৃক্ষের ছায়ায়। শুধু তাই নয় এখানে এলে বলরাম তার বাবাকে খুঁজে পায়। মনে হয় বলরামের মাথার ওপর ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারই পিতা শম্ভুনাথ মুচি। বলরাম কোথায় যাবে বাবার শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু ছেড়ে?
বিকেলের পরে বৃষ্টি থামলে বৈদ্যতলা বাজার কমিটির সেক্রেটারি জয়েন মাতব্বর অন্তত দশ জোড়া ছেঁড়া চটি জুতা, স্যান্ডেল নিয়ে আসে। বলরামের বাক্সের ওপর বসে বলে, এই নে! সেলাই টেলাই যা লাগে কইরা দে। বাড়িত কারও পায়ে দেওনের মত জুতা আর অবশিষ্ট নাই। বাক্সের ওপর বসে জয়েন মাতব্বর ছাগলের মতন পান চিবুতে থাকে।
জুতা সেলাই হয়ে গেলে জয়েন মাতব্বর হাসি হাসি মুখে বলে,
-অ্যা! করে ফেলছো? ভালো! ভালো! টাহা পয়সা কিছু লাগবনি?
বলরাম জানে, সকলের কাছেই টাকা চাওয়া যায় না। জয়েনের কথায় এই বাজার চলে। বলরাম তবু মুখ কাচুমাচু করে বলে,
-তা মাতবর সাব খুশী মনে যদি দেন কিছু?
জয়েন মাতব্বর জানে কখন কী বলতে হয়।
- হা রে বলরাম! এত টেহা পয়সা দিয়া তুই করবিটা কী? ম্যায়া দুইডা তো ভালো লাইনেই খাড়া করাইছো!
বলরাম চুপ করে থাকে। বলতে পারে না কিছু।
মাথা নিচু করে থাকা ছাড়া আর কী বা বলার আছে?
জয়েন মাতব্বর পান চিবুতে চিবুতে বলে,
-তা এক সময় তোর বৌ রে পাঠাই দিস। সের খানেক চাল দিয়া দিমুনে। আজ উঠি রে। ওহ! আর একখান কথা আছে। তুই তো এইহানেই বহস। আমরা বাজার কমিটি সিদ্ধান্ত নিছি এই গাছ বেইচা নতুন গাছ লাগাবো। তুই না হয় নিবারনের দোকানের সামনে বহিস।
বলরাম উদ্বেগ নিয়ে বলে,
-মাতবর সাব গাছখান বেচবাইন ক্যান? কত বছরের পুরান গাছ। গাছখান থাইক। হাটবারে কত লোক গাছটার নিচে আইসা বসে। জিরায়।
জয়েন মাতব্বর তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে,
- আ্যাঁ! গাছখান থাইক! তুই তো কবারই পারস! বাজার কমিটির কত টেহার দরকার তুই জানোস? আষাঢ় মাস আইতাছে। বাজারে মাটি না ফালাইলে পানি জইমা থাকব। দোকান করবো কিভা কইরা হগলে?
জয়েন মাতব্বর চলে যাওয়ার পর বলরাম গাছটার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। চোখ দুটো সজল হয়ে ওঠে তার।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। বলরামের ঘরে ফেরার তাড়া নেই আজ। তেমনি নির্বিকার বসে থাকে। বৈদ্যতলা বাজারের দোকানিরা দোকান বন্ধ করে যে যার মত ঘরে ফিরে। কেউ কেউ যাওয়ার পথে বলরামকে জিজ্ঞেস করে, কি গো বলরাম! রাইত অইয়া আইলো। বাড়িত যাবা না আইজ? পাশেরজন উপহাস করে বলে বাড়িত কী যাইবো? বাড়ি তো না রঙ্গশালা!
হো হো করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে সবাই।
বলরাম তেমনি নিরুত্তর বসে থাকে। কাউকে কিছু বলে না। আজ সকাল থেকেই মন ভালো নেই তার। প্রথম যৌবনে বাসন্তিকে যখন বলরাম বিয়ে ঘরে আনে তখন চাল কেনার পয়সা থেকে এক দুই পয়সার আলতা কিনে ঘরে ফিরতো কোনো কোনো দিন। ছোট্ট একটা খুপরির মধ্যে বাসন্তির পায়ে আলতা দিয়ে দেওয়া নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কত আহলাদ! কত খুনসুটি! সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে বাসন্তির রোজকার ভর্ৎসনাও বুকের মধ্যে বিঁধে। এই বাসন্তিকে কোনোভাবেই সেদিনের সেই বাসন্তির সাথে মেলাতে পারে না বলরাম।
চারপাশে অন্ধকার ঘনিয়ে এলে বলরাম কাঠের বাক্স গুছিয়ে নেয়। তবু ফিরতে হবে। ফেরার আগে বাসন্তির জন্য আলফুর দোকান থেকে দু টাকার আলতা কিনে। বাসন্তি পরবে না হয়তো। বলরামও কোনোদিন বাসন্তিকে বলতে পারবে না আর। সে সম্পর্ক নেই এখন। তবু ঘরের এক কোনায় ফেলে রাখবে। ঝাড়ু দেওয়ার সময় যদি বাসন্তির চোখে পড়ে!
কর্দমাক্ত রাস্তা। সমস্ত দিন বৃষ্টি শেষে রাস্তার পাশের ডোবা নালা থেকে ব্যাঙেরা ডাকছে। পোকামাকড়ের বিচিত্র শব্দ কানে এসে বিঁধছে। বলরাম ধীর পায়ে বাড়ি ফিরে। এখনও মেয়েদের ঘরে বাইরে থেকে শিকল টেনে দেওয়া। ফেরেনি তারা। বলরাম দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বলরামের বৃদ্ধ মা শুয়ে আছে মেয়েদের ঘর সংলগ্ন আলাদা ছোট্ট একটা খুপরিতে। এখনও বাতি দেওয়া হয়নি। আজ কেরোসিন আছে কিনা কে জানে! বলরাম নিজের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ায়। দরজায় করাঘাত করে। একবার! দুইবার!....
বাসন্তি অবেলায় শুয়ে আছে কেন? শরীর খারাপ করেনি তো? মিনিট পাঁচেক কড়া নাড়ার পর দরজা খুলে বাসন্তি। অস্পষ্ট সে আঁধারে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে আরও একটা ছায়ামূর্তি। বলরামের চিনতে অসুবিধে হয় না তাকে। জয়েন মাতব্বর! জয়েন দ্রুত হেঁটে চলে যাওয়ার পথে বলে যায়, ওই যে তোর বৌ রে চাইল দিবার আইছিলাম।
বলরাম স্ত্রী কে কিছু না বলে বেরিয়ে আসে বাড়ি থাকে। কাঠের বাক্সের ওপর পড়ে রয় দু টাকায় কেনা আলতা। বলরাম হাঁটতে হাঁটতে আবার বৈদ্যতলা বাজারে এসে দাঁড়ায়, প্রাচীন বটবৃক্ষের নিচে। বাজার এখন নিস্তব্দ। কোন গুঞ্জন নেই, মানুষের কোলাহল নেই। কিছু পরেই রাতের প্রহরী আসবে দুজন। বলরাম মুচি শার্টের পকেট থেকে বিড়ি বের করে ধরায়। বটবৃক্ষের দিকে তাকিয়ে একরাশ ধোয়া ছাড়ে। নিষ্ঠুর এই পৃথিবীতে নিজেকে খুব একা মনে হয় বলরামের। বাবার কথা মনে পড়ে তার।
বলরামের বয়স তখন আর কত হবে? আট কি দশ! বাবা শম্ভুনাথ মুচির সাথে বলরাম বৈদ্যতলা বাজারে আসা শুরু করেছে মাত্র। মুচির ছেলে; দু চারদিন যেতেই জুতা সেলাই করা শিখে ফেললো। শম্ভু মুচি আহলাদ করে বলতো, বাপ ব্যাটা মিলে জুতা সেলাই করমু। আমগোরে আর অভাব থাকবো না রে। জন্মের সময় এই জন্যই তোর নাম থুইছিলাম বলরাম। তুই হইলি বাপের বল! না রে?
বাপের কথাটা মনে ধরেছিলো বলরামের। তারপর থেকে বলরাম বাপের সাথে সাথেই থাকতো সব সময়।
দেশে সেবার গণ্ডগোল শুরু হলো। পাকিস্তানি সৈন্যরা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। গুলি করে মানুষ মারছে নির্বিচারে। দেশ ছেড়ে, গ্রাম ছেড়ে, বাড়িঘর ফেলে জ্ঞাতিগোষ্ঠীর সবাই ছুটছে বর্ডারে। শম্ভু মুচিকেও বলা হয় যাওয়ার জন্য। কিন্তু শম্ভুনাথের এক কথা।
ক্যান যামু ভিটেমাটি থুইয়া? ওইখানে তো কিছুই নাই আমার? নিজের ঘরবাড়ি থুইয়া পরবাসী হওয়ার জইন্য তোমরাই বা কেন যাও?
এক দুপুরে বৈদ্যতলা বাজারে পাকিস্তানি মিলিটারি নামলো। বাপের কথা মত বলরাম দৌঁড়ে গিয়ে পালালো পাশের দোকানের ঝাঁপের নিচে। মালসমেত বাক্স নিয়ে শম্ভু পালাতে পালাতেই মিলিটারিরা জিপ নিয়ে এসে ধরে ফেললো তাকে। শম্ভু ঘাবড়ে গিয়েছিলো। পাকিস্তানি মিলিটারিদের কমান্ডার এগিয়ে এসে বাক্সের ওপর পা রেখে ধমকের সুরে বললো,
-শালা মালাউন! শুয়োর কা বাচ্চা।
মেরা জুতা চামকা দে!
শম্ভু ভয়ে কাঁপছিলো। জুতার ব্রাশ হাত থেকে পড়ে যাচ্ছিলো বারবার। শম্ভুর ভয় পাওয়া দেখে
কমান্ডার অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। হাসি সংক্রামক। সে হাসি ছড়িয়ে যায় পাকিস্তানি মিলিটারিদের মধ্যেও।
বলরাম দোকানের ঝাঁপ ফাক করে বাবার অসহায় মুখের দিকে তাকায়। ওরা কি মেরে ফেলবে বাবাকে? কমান্ডার আস্বস্ত করে শম্ভুকে,
-তুমে ডারনেকা জারুরাত নেহি হে।
তুমে ইনাম মিলেগা! ইনাম!
হা! হা! হা!
আবার অট্টহাসি!
শেষবার যখন শম্ভুর হাত থেকে জুতার ব্রাশ পড়ে গেলো কমান্ডার আর কথা বাড়ায়নি। রাইফেলের ট্রিগার চেপে দিয়েছে নির্দয়ের মত।
রাত অবধি শম্ভুর নিথর দেহ পড়েছিলো এই বটবৃক্ষের নিচেই। বলরাম কাউকে ডেকে পায়নি সেদিন। এতটুকুন একটা ছেলের ডাকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেনি কেউ। মরা পোড়ানোর মত অবস্থা তখন নয়। বলরাম মা কে সাথে নিয়ে নিজেই গর্ত করে পুতে রাখে শম্ভুকে, এই বটবৃক্ষের নিচেই। কেউ জানে না। আজ বলরামের বারবার সেই অসহায় বাবার মুখখানি মনে পড়ছে। বলরাম কতবার চেয়েছে বৈদ্যতলা বাজার ছেড়ে অন্য কোথাও পাড়ি জমাবে, রোজগার করবে কিন্তু বাবার সেই মায়াময় মুখের মায়া ছাড়তে পারেনি এক মুহূর্তের জন্যেও। সংসারে কে বুঝবে বলরামের দুঃখ? পৃথিবীও তো সকলের জন্য নয়!
পরদিন সকালে বৈদ্যতলা বটবৃক্ষে ঝুলন্ত এক মরদেহ পাওয়া গেলো। এলাকাবাসী নিশ্চিত করলো লাশটা আর কারও নয়; বলরাম মুচির।
#উত্তরাধিকার
#লেখনিতে_মঈনুল_সানু
♥- - - - - - - সমাপ্ত - - - - - - - -♥
0 মন্তব্যসমূহ