ছাত্র : চারটা স্যার।
এমন বোকার মতো জবাব শুনে ক্লাসের অন্যান্য ছাত্ররা হাসে।
স্যার বললেন হাসি থামা। এই যে ফার্স্ট বয়। তুমি দাঁড়াও।
ফাস্টবয় : স্যার কয়টা কিডনী আছে বলবো। নাকি বেত নিয়ে আসবো।
স্যার : কয়টা কিডনী আছে বলতে হবেনা। বেতও নিয়ে আসতে হবেনা। কিছু ঘাস নিয়ে আসো। ফ্রেশ তাজা ঘাস।
ফাস্টবয় : ঘাস দিয়ে কি হবে স্যার?
স্যার : ক্লাসে একটা গাধা আছে। ওকে খেতে দেবো।
চারটা কিডনী বলা ছাত্রটি এবার বললো : যাও ঘাস নিয়ে আসো। সাথে করে এক কাপ ফ্রেশ কফিও নিয়ে এসো।
স্যার রেগে বললেন কফি দিয়ে কি হবে? কফি কে পান করবে?
কফি স্যার আমি পান করবো। আর যে গাধা সেইতো ঘাস খাবে।
স্যার : গাধাটা কে?
ছাত্র : আপনিতো স্যার জিজ্ঞাসাই করেছেন- আমাদের কয়টা কিডনী আছে। আমার আর আপনার মিলেতো চারটা কিডনীই আছে। সুতরাং নিশ্চয়ই ক্লাসে আমি গাধা না।
স্যার বললেন তুমি বেশী বোঝো? বেশী বুঝদার ছাত্রদের পরীক্ষায় আমি শূন্য দিই। তোমার জন্য বরাদ্দ ডাবল শূন্য।
ছাত্রটি এবার বললো এতে স্যার আপনারই ক্ষতি। সবাই বলবে অমুক স্যারের ছাত্র পরীক্ষায় ডাবল গোল্লা পেয়েছে। আপনারই বদনাম হবে। আমাকেতো আর তেমন কেউ চেনেনা।
ছাত্ররা সবাই এবার হোহো করে হাসে।
পরীক্ষা শেষ। শিক্ষক ছাত্রের খাতায় বিশেষ নোট লিখলেন-
তুমি প্রতিদিন ক্লাসে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও। বুদ্ধি দিয়ে সবাইকে বাজিমাৎ করো এবং হাসাও। আমার বিশ্বাস। আমাদেরকে হয়তো কেউ চিনবে না। তবে একদিন তোমাকে গোটা দুনিয়াবাসী চিনবে। তুমি দুনিয়াবাসীকে হাসাবে। আমি তোমার জন্য এই খাতায় আশীর্বাদ রেখে গেলাম।
স্যারের আশীর্বাদ সত্যি হয়েছে। দুনিয়াবাসী প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনকে চিনেছে।
গল্প : সংগৃহীত।।
0 মন্তব্যসমূহ