আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট রাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় আছে বহু নারী। নামকরা কোম্পানি লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সবার ত্বকে সব কিছু মানিয়ে নিতে পারে না। সে কারণে সেদিকে নজর রাখাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আমাদের ঠোঁটের কালচে দাগের পেছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়। আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট অনেক সময় বিবর্ণ হয়ে ওঠে। ত্বকের মতো ঠোঁটেও একই রকম ভাবে সানবার্ন হয়।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা খুবই জরুরি আমাদের । নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কালো ঠোঁটের একটা বড় কারণ দাঁড়ায় সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটের ত্বকে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তোলে আমাদের ঠোঁট। অতিরিক্ত মাত্রায় চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা থেকেও ঠোঁট হতে পারে কালো ।
ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করে গোলাপি আভা ফিরিয়ে নিয়ে আসার কিছু প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া সহজ পদ্ধতি রয়েছে। ঘরেই মিলবে এমন টুকিটাকি সামগ্রী ব্যবহার করে পেতে পারেন সহজ সমাধান।
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে যেমন মধুর কোনো জবাব নেই। তেমনি ঠোঁটের ত্বকে ও এর ব্যতিক্রম নয়। কেবল কালচে ভাব দূর করতেই নয়, ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু ভীষণ ভাবে কাজ করে থাকে। ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণে মধু ঠোঁটে লাগিয়ে সারা রাত রাখতে হবে । কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ঠোঁটের রঙে পার্থক্য অবশ্য চোখে পড়বে।
চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবেই, পাশাপাশি মরা চামড়া দূর হয়। ৩ চামচ মাখন ও ২চামচ চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে সেই পেস্ট্রি কে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে বার দুয়েক এই পেস্ট দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন উপকার পাবেন ।
লেবুর রস খুব ভাল ব্লিচিং উপাদান। প্রতিদিন যদি ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করা যায় তাহলে কালচে ভাব দূর হবে খুব সহজেই।
প্রতিদিন একবার করে যদি ঠোঁটে বরফ ঘষা যায় । তাতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। বরফ ঠোঁটের আদ্রতার মাত্রা বজায় রেখে রুক্ষতা দূর করে থাকে ।
দুধের সর ব্যবহার করেও ঠোঁটের হারানো রঙ ফিরে পেতে পারেন। দুধের সরে সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান প্রতিদিন। এতে ফল মিলবে একেবারে হাতেনাতে।
0 মন্তব্যসমূহ