ওজন কমাতে: পপকর্ন হলো সুগার ফ্রি, ফ্যাট ফ্রি এবং কম ক্যালরির যুক্ত খাবার। ছোট এক কাপ পপকর্নে মাত্র ৩০ ক্যালরি থাকে । ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হওয়ার জন্য ছোট এক কাপেই পেট ভরে যায় এবং অনেকক্ষণ পযন্ত খুদা লাগে না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে পপকর্ন হতে পারে আদর্শ একটি নাস্তা।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট: ফ্রি রেডিক্যাল শুধু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তাই নয়, হার্টের অসুখের ঝুঁকিও অনেকটাই বাড়ায়। এছাড়াও অন্ধত্ব, মাংসপেশির দুর্বলতা, আলঝেইমার, চুল পড়া ইত্যাদি রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। পপকর্নে পলিফেনল নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্টটি প্রচুর পরিমাণে আছে যা ফ্রি রেডিক্যালের নেতিবাচক প্রভাবগুলো কমিয়ে দিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে ।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়: পপকর্নে প্রচুর ফাইবার থাকে । এছাড়াও আছে মিনারেল, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এবং ভিটামিন ই। প্রচুর ফাইবার থাকায় কারণে পপকর্ন খেলে পাচক রস নির্গত হয়,এর ফলে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। সে জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজে দুর হয় ।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: সঠিক পরিমাণে ভুট্টা খেতে পারলে ডায়াবেটিস রোগীদের উপর মহাওষুধের কাজ করে । ফাইবার যুক্ত খাবার রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে ।তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়ম করে বিকেলের নাস্তায় ছোট এক কাপ পপকর্ন রাখতে পারেন।
সতর্কতা: পপকর্ন খুবই উপকারী। তবে অবশ্যই তা ঘরে তৈরি হতে হবে। বাইরের ফ্লেভার্ড পপকর্ন, অতিরিক্ত লবণ, চিনিযুক্ত কিংবা বাটার দেয়া পপকর্ন শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এগুলোতে থাকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং বাড়তি ক্যালরি। তাই বাড়িতেই পপকর্ণ তৈরি করে নিন। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ