Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

নিজের বা অন্যের হার্ট অ্যাটাক হলে হটাৎ কি করবেন।

 নিজের বা অন্যের হার্ট অ্যাটাক হলে হটাৎ কি করবেন।

হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে থাকে তখনই আমাদের হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাকের আগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে যত বেশি আমরা জানতে পারব ততই আগাম সতর্ক অবলম্বন করা যাবে। তবে নিজের বা অন্য কারোর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু নিয়ম মানলে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।

সাধারণ লক্ষণ
১. হার্ট অ্যাটাকের শুরুতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ব্যথা অনুভূতি হয়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
২. বুকে যে ব্যথা হবে এমন নিশ্চয়তা নেই কিন্তু ।
৩. হার্ট অ্যাটাকের আগে চোয়ালে তীব্র যন্ত্রণা হলে বেশি করে সাবধান হওয়া উচিত ।
৪. বমি বমি ভাব অথবা অসম্ভব পরিমানে ঘাম হতে পারে।

নিজের ক্ষেত্রে করণীয়
১. হার্ট অ্যাটাক হলে একদম ভয় পাবেন না।
২. হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে যত জোরে পারবেন ঘন ঘন কাশি দিতে থাকুন । কাশির সঙ্গে কফও বের করে আনার চেষ্টা করুন।
প্রতিবার কাশি দেয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিতে থাকুন । এভাবে ঘন ঘন কাশি ও দীর্ঘশ্বাস প্রতি দুই মিনিট পর পর করতে থাকুন। এতে আপনার হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। কারণ দীর্ঘশ্বাসের ফলে মানুষের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন অনেক বেশি হয়। আর ঘন ঘন ও জোরে কাশি দেয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় এতে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে ।

অন্য কেউ আক্রান্ত হলে
১.হার্ট অ্যাটাক হলে আক্রান্তকে ঝিমিয়ে পড়তে দেবেন না, বরং তার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে কথা বলতে থাকুন।
২. রোগীর মাথা ৩০-৪৫ ডিগ্রি উঁচু করে শুইয়ে রাখুন, যাতে তার শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
৩. রোগীকে শুইয়ে দুই হাতের তালু পরস্পর আলিঙ্গনাবদ্ধ (ইন্টারলক) করে কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসালিটেশন (সিপিআর) পদ্ধতিতে পুরো শরীরের ভর দিয়ে ঠিক বুকের মাঝখানে পাম্প করতে থাকুন। মুখে মুখে রেখে দম দিন ও নিন। এভাবে ১৬-১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০ বার পাম্প করুন।
৪. রোগীর নাক বন্ধ করে থুতনি উঁচু করে ধরুন। ফের বুকে পাম্প করুন। পুরো সাইকেলটা কমপক্ষে পাঁচবার করতে থাকুন ।
৫. এসব করতে করতে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ।
প্রাথমিক চিকিৎসা
কেউ যদি বুঝতে পারেন যে তার হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে, তখন দেরি না করে অ্যাসপিরিন ৩০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট কিনে সরাসরি চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অ্যাসপিরিন হার্ট অ্যাটাকে ৩০ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে। অন্য কোন অসুখ থাকলেও এটা সেবনে কোনোরকম ক্ষতি নেই।
এছাড়া নাইট্রেট স্প্রে বা ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে দিতে পারেন। এরপর গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খেয়ে একটা ইসিজি করে হার্ট অ্যাটাকের মার্কার হিসেবে রক্তের ট্রপোনিন পরীক্ষা করে দেখুন।
সূত্র
অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, হৃদরোগ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ