Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

শাহনাজ

১১ বছরের একটা মেয়ে'কে, ৩৩ বছরের এক যুবকের সাথে, বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে শিকদার বাড়ির সবাই। ছেলে'র বয়েস মেয়েটার থেকে তিন গুন। যার বিয়ে, তার খবর নাই। সেই ছোট্ট মেয়েটা এখন পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। বাড়িতে এতো আয়োজন কিসের, সে নিজে ও জানে না। নিবরাস শিকদার, মেডিকেল হস্টেল থেকে মাত্র বাড়িতে ফিরে সে। বাড়িতে এতো আয়োজন দেখে হা হয়ে যায়। বিবাহ উপযোগ্য বাড়িতে কেও নেই, তাহলে এতো আয়োজন কিসের? সকল দ্বিধা দন্ড নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। ছেলে'কে দেখে নিরু শিকদার কিছুটা দৌঁড়ে আসে। ছেলেকে বুকের সাথে জড়িয়ে কেঁদে দেয়। আহা ছেলে'টাকে কতদিন পর কাছে পেলো। নিবরাস মা'কে হালকা ভাবে জড়িয়ে ধরে। তারপর আদরে গলায় বলে, “মা কান্না করো না তো। এভাবে কান্নার করার কি আছে? আমি তো ঠিক আছি। এটা বলো বাড়িতে এতো আয়োজন কিসের? আজ কি কোনো অনুষ্ঠান আছে? আর থাকলে ও আমাকে জানানো হয় নি কেনো!”
“তুই বাসায় আসবি তাই আলাদা ভাবে জানাই নি। মাত্র আসলি, রুমে গিয়ে আগে রেস্ট নে। আজ কিন্তু অনেক কাজ আছে, যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হো। এক সাথে এতো প্রশ্ন করলে কোনটার উওর দিবো হ্যাঁ?”

“আমি যা বলেছি তার উত্তর এটা না মা। আজ বাড়িতে কিসের অনুষ্ঠান?”

“শাহনাজে'র বিয়ে আজ।”

“হোয়াট!”

 নিবরাস ধপ করে সোফায় বসে। শাহনাজে'র বিয়ে! ১১ বছরে'র একটা বাচ্চা'কে কিভাবে বিয়ে দিতে পারে তার মা? মামি হয়ে এমনটা করলো কিভাবে। মায়ের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে নিজের রুমে যায় নিবরাস। গোসল করে একটা কলার ওয়ালা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে শাহনাজ এর রুমে যায়। কয়েকবার টোকা দিতেই শাহনাজ দরজা খুলে দিলে নিবরাস তাড়াতাড়ি ভিতরে প্রবেশ করে। শাহনাজ নিবরাস ভাইয়া'কে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরে। গলা জড়িয়ে বলে, “নির ভাইয়া আমার জন্য চকলেট এনেছো? তুমি আসবে আমাকে বলো নাই কেনো! আমার জন্য বড় টেডিবিয়ার আনতে বলতাম। উফ তুমি দেখি কুমিল্লা গিয়ে আমাকে ভুলে গেছো।”

“হঠাৎ করে বাড়িতে আসা সে জন্য তোকে জানাতে পারি নাই। তোর চকলেট আছে সমস্যা নাই। এখন এটা বল, এখনো ঘুমাচ্ছিস কেনো? আজ পড়তে যাস নি।”

“মামি বললো আজকে বাসায় থাকতে। তাই যাই নি কোথাও, কেনো আমি বাড়িতে আসি দেখে তুমি কী রাগ করছো? আচ্ছা ভাইয়া, আজকে বাড়িতে কি অনুষ্ঠান হবে? এতো সাজানো কেনো!”

 নিবরাসে'র হাতে তখন ফোন ছিলো। শাহনাজে'র কথায় ফোনটা হাত থেকে পড়ে যায়। অবাক হয়ে শাহনাজ'কে দেখে। শাহনাজ কি জানে না আজ তার বিয়ে? নিবরাস কনফিউশ হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে। ফোনটা হাতে নিয়ে বলে, “শাহনাজ তুই জানিস না আজ বাড়িতে কি! তোকে কি কেও এই বিষয়ে বলে নাই? তোর হাতে মেহেদী দেওয়া, অথচ তুই কিছু জানিস না?”

“কালকে তনু আপু আমার হাতে মেহেদী দিয়ে দিসে। তুমি তো জানো, মেহেদী অনেক ভালো লাগে, তাই না করি নাই। তুমি এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আসো কেনো নির ভাইয়া?”

 নিবরাস আর সময় নেয় না। শাহনাজে'র হাত ধরে বাহিরে আসে, যেখানে সবাই বসে ছিলো। নিবরাস মা'য়ের দিকে তাকিয়ে উঁচু গলায় বলে, “মা, শাহনাজে'র বিয়ে অথচ তাকে বলো নাই কেনো? তাকে না বলে তার বিয়ের এতো তোরজোড়! লজ্জা করে না ১১ বছরের একটা মেয়ে'কে বিয়ে দিচ্ছো তুমি। তোমার ১৫ বছরের মেয়ে আছে, তাকে বিয়ে দেও দেখি।”

“নিবরাস শান্ত হো বাবা, আর তোর বোন এখনো বিয়ের জন্য তৈরি না। সে পড়াশোনা করবে, আর শাহনাজ'কে বাড়িতে বসে রাখবো নাকি? তাই বিয়ে দিয়ে বিদায় করবো। আমি চাই, তুই যেনো এই বিষয়ে মাথা না ঘামাস।”

“আমি শাহনাজে'র বিয়ে হতে দিবো না। এই টুকু একটা মেয়ে'কে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছ তুমি? ছেলের ছবি দেও, বয়েস কতো, কি করে সব দেও।”

“নিবরাস”

"কোনো শব্দ হবে না, আমি যা বলছি তাই করো। না হলে সব তছনছ করতে সময় নিবো না। আমি কি করতে পারি, সেটা তোমাদের অজানা নয়।”

 নিরু শিকদার উপায় না পেয়ে ফোন থেকে ছেলের ছবি দেখায়। আইডি কার্ডের ছবি ও আছে দেখে ভালোভাবে সেটা দেখে। তারপর জোরে ফোনটা দূরে ছুঁড়ে মা'রে। ছেলেটা'কে সে চিনে, বয়েস ৩৩ কি ৩৪। একটা কাপড়ের দোকান আছে, মোটা, ভুড়ি বড়, এমন ছেলের সাথে সে শাহনাজ'কে বিয়ে হতে দিবে! এটা অসম্ভব। নিবরাস চিৎকার দিয়ে বলে, “সবাই যে যার মতো বাড়ি চলে যাও। এই বিয়ে হবে না, নাক টিপলে দু'দ বের হবে, সেই মেয়ের বিয়ে খাইতে আসছো তোমরা? বিয়ে না আটকিয়ে মজা করছো। লজ্জা থাকা দরকার আপনাদের। বেড়িয়ে যান আমার বাড়ি থেকে।”

“আমি বিয়ে করবো না নির ভাইয়া।”

 এতোক্ষণে শাহনাজ মুখ থেকে কথা বের করে। সে নিবরাসে'র পিছনে লুকিয়ে কথাটা বলে। তার অনেক সখ, বড় হয়ে একটা শিক্ষিকা হবে। আর বিয়ের বোঝে বা কি? এই বয়সে বিয়ে দিলে তার সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে। নিবরাস শাহনাজে'র থুঁতনি ধরে বলে, “চিন্তা করিস না, তোর নির ভাইয়া তোর পাশে আছে। আমি থাকতে এই বিয়ে কিছুতেই হতে দিবো না। আমি তোর মামি'র মতো পাষাণ নই। তুই অনেক পড়বি, তোর জীবন আমি নষ্ট হতে দিবো না।”

“মামি আমাকে পছন্দ করে না, সে জন্য আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে ভাইয়া। আমি বিয়ে করবো না, আমি পড়াশোনা করবো তনু আপুর মতো। আমাকে তুমি এখান থেকে নিয়ে চলো প্লিজ।”

"কেও কোথাও যাবে না। তোকে বসে বসে আর খাওয়াতে পারবো না আমি। তোর মা-ও মরে অশান্তি দিয়ে গেছে আমার কাছে। আজকে এখানে তোর বিয়ে হবে, ছেলে তোর মতো অনাথ'কে বিয়ে করবে এটাই অনেক।”

 শাহিন শিকদার এতোক্ষণ চুপচাপ সব শুনিতেছিল। কিন্তু উনার এতো চিৎ'কার পছন্দ হয় না। তাই একটা ধমক দিয়ে শাহনাজে'র উদ্দেশ্য কথাটা বলে। শাহনাজ কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে, “আমি তো বেশি খাই না মামা। অল্প ভাত খাই, আর বসে বসে খাবো না তাও বিয়ে দিও না। এবার থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবো। তাও আমি বিয়ে করবো না।”

 শাহনাজে'র কথা শুনে উপস্থিত সবাই ফিক করে হেঁসে দেয়। নিবরাস নিজে ও রাগের মাঝে হেঁসে ফেলে। হাসি কোনো রকমে কনট্রোল করে শাহনাজ'কে বলে, “তুই বসে বসে খাবি, তোকে দাঁড়িয়ে খেতে হবে না। চিন্তা করিস না, আমি আছি তো শাহনাজ। নিরবাস সব সময় তোর পাশে থাকবে।”

“নিবারস ঘরে যা, এখানে তোর থাকার প্রয়োজন নেই। ওকে বসে বসে খাওয়াতে পারবো না আমি। কামায় করতে কষ্ট হয়, বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে, নয়তো বিয়ে করবে ও কোনটা?” শাহিন শিকদারে'র কথা শুনে নিবরাস আর ও রেগে যায়। টেবিলে জোরে একটা লাথি মারে। ঝনঝন শব্দ করে কাচেঁর সব জিনিস ভেঙে যায়। নিরু শিকদার এবার নিবরাস এর দিকে এগিয়ে আসে। হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নিবরাস হাত ঝাড়া দিয়ে বলে, “মা শাহনাজ এখনো বাচ্চা, ও বিয়ে সম্পর্কে কিছু বোঝে না৷ বিয়ে দেওয়ার সখ থাকলে তোমার মেয়ে'কে বিয়ে দেও। শানহাজ বিয়ে করবে না, ও নিজ মুখে বলছে শুনতে পাও নি?”

“না শুনতে পাই নি। বোঝে না বিয়ের পর সব বুঝাতে পারবে। শাহনাজে'র হাত ছেড়ে দে, বর যাত্রী আসবে এখন। আজকে ওর বিয়ে হবে।”

“ওর বিয়ে হবে না, আমি থাকতে কিছুতেই এই বিয়ে হতে দিবো না।”

 কথা বলার মাঝখানে ছেলের বাড়ির সবাই চলে আসে। শিকদার বাড়ির সবাই তাদের খাতির যত্ন করতে ব্যস্থ হয়ে উঠে। নিবরাস রেগে হনহনিয়ে নিজের রুমে যায়। সে কি করবে উপায় পায় না। শাহনাজ নিজে ও নিবরাসে'র পিছু নেয়। নিবরাস কিছুক্ষণ ভেবে শাহনাজে'র হাত ধরে শাহনাজে'র রুমে নিয়ে যায়। শাহনাজে'র প্রয়োজনীয় সব জিনিস একটা ব্যাগে তুলে নেয়। তারপর নিজের রুমে গিয়ে নিজের সব জিনিস প্যাক করে। দুইটা ব্যাগ হাতে নিয়ে ড্রইং রুমে আসে। শাহিন শিকদার অবাক হয়ে বলে, “নিবরাস ব্যাগ নিয়ে কই যাস? আর তোর সাথে শাহনাজ কী করছে! শাহনাজ নিজের রুমে যাও। তোমার তনু আপু তোমাকে সাজিয়ে দিবে। বর আসছে কিছুক্ষণ আগে। সবার সামনে কোনো সিনক্রিয়েট করো না দু'জনে।”

“এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি আমি, সাথে যাবে শাহনাজ। পিচ্চি একটা মেয়ে'কে তোমরা বিয়ে দিবে, সেটা আমি মানতে পারবো না। ওর দ্বায়িত্ব আমি নিলাম আজ থেকে।” 

“পা'গ'ল হয়ছিস? যা রুমে যা।”

 নিবরাস কোনো কথা শোনে না। বাহিরে তার এক ফেন্ড এর ভাই এসে দাঁড়ায়। ছেলেটা ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। নিবরাস শাহনাজে'র হাত ধরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায়। এমন কিছু হবে সেটা তারা ভাবতে ও পারে নাই। নিবরাস যে এমন কিছু করতে পারে ধারণা ছিলো না কারো। বর যাত্রীরা সবটা জানার পর ঝগড়া শুরু হয়। প্রায় ১ ঘন্টা পর ঝামালা শেষ করে সবাই বাড়ি ফিরে যায়। শাহিন শিকদার শব্দ করে সোফায় বসে। উনার ছেলে এমন বেয়াদপ হবে জানতেন না। সব রাগ নিজের বউ নিরু শিকদারে'র উপর ঝারে। পুরুষ মানুষের এই এক সমস্যা, সব রাগ বউয়ের উপর দিয়ে যায়। যেখানে যাই হোক না কেনো, সব দোষ বউ'য়ের ভাবে তারা। আধা ঘণ্টা পর তিন'জন একটা বাসায় সামনে এসে দাঁড়ায়। শাহনাজ নিবরাস ভাইয়ার হাত ধরে বলে, “নির ভাইয়া, মামি মা এতো খারাপ কেনো? আমার মা-বাবা নাই সে জন্য কি আমাকে বিয়ে দিতে চায়? কিন্তু আমি তো মা-বাবা কে মারি নাই, তাহলে আমার সাথে এমন করে কেনো?”

“ভিতরে যা আমি আসছি, কোথাও যাবি না কিন্তু। তুই সেসব নিয়ে ভাবিস না। তুই এটা ভাব, তুই বড় হয়ে যেনো নিজের স্বপ্ন পুরোন করতে পারিস। তোকে তোর স্বপ্ন পুরোন করতে হবে। তোর স্বপ্ন রক্ষার্থে তোকে নিয়ে বাড়ি ছাড়লাম আমি। আমার সন্মান রাখিস।”

“তুমি চিন্তা করো না ভাইয়া, আমি তোমার সব কথা শুনবো। ভালোভাবে পড়াশোনা করবো। কিন্তু এখন আমরা কই থাকবো ভাইয়া?” 

“তুই আমার সাথে থাকবি। তুই এখানে থাক, আমি একটু বাহির থেকে আসি। 

 নিবরাস কথাটা বলে সেই যে গেলো রাত লেগে আসে তবুও বাসায় ফিরে আসে না। শাহনাজে'র ভয় লাগা শুরু হয়। তাকে রেখে কোথাও পালিয়ে গেলো না তো? ভয়ে রুমে বসে কাঁদতে থাকে সে। তার নির ভাইয়া কি তাকে নিতে আসবে না আর? দরজা খোলার শব্দে দরজার দিকে তাকায় সে। নিবরাস শাহনাজে'র দিকে তাকে চমকে উঠে। মেয়েটার অবস্থা কি, চোখ মুখ ফুলে আছে। নিবরাস'কে দেখে শাহনাজ দৌঁড়ে যায়। নিবারসে'র বুকটা ঢুক করে উঠে, ইশ তার জন্য মেয়ে'টা এতো কষ্ট পেলো। শাহনাজ জড়িয়ে ধরে, কাঁদতে কাঁদতে বলে, “ভাইয়া তুমি আমাকে রেখে কই গেছিলে? আমি ভয় পেয়েছিলাম। তুমি অনেক পঁচা, আমাকে রেখে চলে গেছো।”

“আমি আসবো বলেছিলাম তো নাকি? এখানে ভয় পাওয়ার কি আছে। আল্লাহ এই মেয়ে'র বিয়ে হলে যে কি হতো। আমি একটু দরকারি কাজে গেছিলাম, তোকে কই রাখবো কি করবো সেটার জন্য।”

“আমি কি তোমার সাথে থাকবো না ভাইয়া?”

“আমি তো হস্টেলে থাকি, তোকে কিভাবে রাখবো বল। তোকে আমার সাথে নিয়ে যাবো, বাট তুই মেসে থেকে পড়াশোনা করবি।”

 শাহনাজ ঠোঁট উল্টে কেঁদে দেয়। নিবরাস বিরক্ত হয়ে ধমক দেয়। রাতের খাওয়া দাওয়া করে কুমিল্লার বাস ধরে দু'জনে চলে যায়। শেষ রাত'টা একটা হোটেলে কাটায়। পড়ের দিন সকালে শাহনাজ'কে নিয়ে একটা মেসের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। শাহনাজ নিবরাস কে জড়িয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে। নিবরাস একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “যদি এখানে না থাকিস, তাহলে বাসায় রেখে আসি? তোর মামি মা তোকে ৩৩ বছরের ছেলের সাথে বিয়ে দেখ কেমন? আমি ও অনেক দিন থেকে বিয়ে খাইনি। চল রেখে আসি তোকে।”

“না না আমি কোথাও যাবো না, আমি এখানেই থাকবো।”

 নিবরাস এবার একটু শান্তি পায়। শাহনাজ'কে ৪র্থ তালার ৪৩৪ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়। দুই বেডের রুম, তার মতোই ছোট একটা মেয়ে সেখানে আছে। নিবরাস পরিচয় হয়ে নেয়। মেয়েটা এবার ক্লাস সিক্সে পড়ে, শাহনাজে'র সাথেই। বেলা হলে শাহনাজ কে একটা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। সাথে নিয়ে ট্রেলার্স এ যায়। স্কুল ড্রেস বানাতে দিয়ে শাহনাজে'র দিকে তাকায়। তারপর ভ্রু কুঁচকে বলে, “আমার হস্টেলে যাবি?”

শাহনাজ (সূচনা পর্ব)
ফারহানা_জান্নাত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ