চুলের জন্য গরম ভাপ এর উপকারীতা জেনে নিন
আমাদের মাথায় চুল পড়া বা মাথায় নতুন চুল না হওয়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। তবে এ সমস্যা সমাধানে জন্য স্টিম বা গরম ভাপ অনেকটাই উপকারী। তবে সেখানেও কথা আছে। সঠিক নিয়মে না করলে ঘটবে হিতে বিপরীত। ভাপ বা স্টিমের প্রধান কাজ হলো মাথায় নতুন চুল তৈরি করা। তবে চুল পড়ে যাওয়া স্থানে স্টিম দিলেই হবে না, তৈরি করতে হবে সালফার। স্টিমের একটি অন্যতম উপাদান এটি। কিছু সঠিক নিয়ম মেনে তবেই স্টিম দিতে হবে, জানালেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী।
কী নিয়ম
স্টিম দেওয়ার আগে মাথার ত্বক সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার, অর্থাৎ শ্যাম্পু করে নিতে হবে। ত্বকে কোনো ময়লা বা তেল থাকলে হবে না ।
প্রাকৃতিক সালফার–সমৃদ্ধ পেঁয়াজ ও রসুন সমপরিমাণে জল ছাড়া ঘন তরল করে হবে। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি লাগানোর ঠিক পরে স্টিম নিতে হবে ।এর ফলে ত্বকের গ্রন্থিগুলি মুখ খুলে যায় এবং পেঁয়াজ ও রসুনের থাকা প্রাকৃতিক সালফার ত্বকের দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত পৌঁছায় ও নতুন চুল তৈরিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। স্টিম দেওয়ার পর ভালোমতো তেল মালিশ করতে হবে ।
যাঁদের ব্যবহার উচিত
যাঁদের মাথার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক , তাদের মাথায় খুশকি বা চামড়া উঠলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য স্টিম ব্যবহার বেশ উপকারী। চুলে গরম ধোঁয়ার আবেশ দেওয়ার আগে তেল মালিশ অবশ্যই করে নেবেন।
যাদের ব্যবহার করা উচিত নয়
যাঁদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা কখনোই স্টিম এর ব্যবহার করবেন না। কারণ,মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে মাথায় ঘাম হয় বেশি, আর্দ্রতাও থাকে বেশি। এ সময়ে স্টিম ব্যবহার করলে অধিক আর্দ্রতার কারণে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুলে পড়ে যাওয়া সম্ভবনা বেশী থাকে ।
যাঁদের মিশ্র ত্বক স্টিম ব্যবহার নিয়ম।
যাঁদের চুল শীতকালে তৈলাক্ত হয় এবং গরমে শুষ্ক থাকে, তাঁরা ত্বক তৈলাক্ত অবস্থা থাকা কলিন স্টিম ব্যবহার করতে পারবেন না। বছরের একটা সময় হঠাৎ করে যদি মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয় ,তার কারণ হল চুলে সঠিকভাবে শ্যাম্পু না করা।
যে সময়ে আপনাদের ম্টিম দেওয়া উচিত নয় ।
আমাদের স্টিম ব্যবহারের সঠিক সময় হলো গরম ও শীতকাল। অনেকেই সারা বছর স্টিম ব্যবহার করেন, যা একেবারেই সঠিক নয়। কারণ, বর্ষাকালে চুল এমনি ভেজা থাকে, তাই এ সময়ে স্টিম ব্যবহারে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায় ।
গরম ভাপ নেওয়ার নিয়ম
আমরা এখন অনেকেই যন্ত্রের মাধ্যমে চুলে স্টিম দিয়ে থাকি কিন্তু সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, চুলায় জল ফুটিয়ে নিন। সেই জলে এবার তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন।
স্টিমের উপকারিতা
স্টিমের কাজ হচ্ছে মাথার ত্বকের গ্রন্থিগুলোকে খুলে আর্দ্রতা ধরে রাখা। হরমোনের সমস্যার কারণে , নতুন মায়েদের বেশি পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার জন্য চুল পড়ে যায় এবং অ্যালোপেসিয়া বা মাথার ত্বকে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ (ফাঙাল ইনফেকশন) হলে স্টিম দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া ও ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে গেলে নতুন চুল জম্ম নেয় না তাই আর্দ্রতা বজায় রাখতে স্টিম বেশ উপকারী।
ভিটামিন ক্যাপসুল ব্যবহারের পর স্টিম
ভিটামিন ক্যাপসুল ব্যবহারের পর স্টিম দিলে চুলের গোড়া অনেকটাই মজবুত করা হয়। এতে চুল শুষ্ক ও চুলের ক্ষতি হয় না। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও সি ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করে।তারপর স্টিম দিলে চুল তার সঠিক পুষ্টি পায়।
আপনাদের মতামত কমেন্ট করুন
আমাদের মাথায় চুল পড়া বা মাথায় নতুন চুল না হওয়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। তবে এ সমস্যা সমাধানে জন্য স্টিম বা গরম ভাপ অনেকটাই উপকারী। তবে সেখানেও কথা আছে। সঠিক নিয়মে না করলে ঘটবে হিতে বিপরীত। ভাপ বা স্টিমের প্রধান কাজ হলো মাথায় নতুন চুল তৈরি করা। তবে চুল পড়ে যাওয়া স্থানে স্টিম দিলেই হবে না, তৈরি করতে হবে সালফার। স্টিমের একটি অন্যতম উপাদান এটি। কিছু সঠিক নিয়ম মেনে তবেই স্টিম দিতে হবে, জানালেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী।
কী নিয়ম
স্টিম দেওয়ার আগে মাথার ত্বক সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার, অর্থাৎ শ্যাম্পু করে নিতে হবে। ত্বকে কোনো ময়লা বা তেল থাকলে হবে না ।
প্রাকৃতিক সালফার–সমৃদ্ধ পেঁয়াজ ও রসুন সমপরিমাণে জল ছাড়া ঘন তরল করে হবে। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি লাগানোর ঠিক পরে স্টিম নিতে হবে ।এর ফলে ত্বকের গ্রন্থিগুলি মুখ খুলে যায় এবং পেঁয়াজ ও রসুনের থাকা প্রাকৃতিক সালফার ত্বকের দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত পৌঁছায় ও নতুন চুল তৈরিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। স্টিম দেওয়ার পর ভালোমতো তেল মালিশ করতে হবে ।
যাঁদের ব্যবহার উচিত
যাঁদের মাথার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক , তাদের মাথায় খুশকি বা চামড়া উঠলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য স্টিম ব্যবহার বেশ উপকারী। চুলে গরম ধোঁয়ার আবেশ দেওয়ার আগে তেল মালিশ অবশ্যই করে নেবেন।
যাদের ব্যবহার করা উচিত নয়
যাঁদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা কখনোই স্টিম এর ব্যবহার করবেন না। কারণ,মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে মাথায় ঘাম হয় বেশি, আর্দ্রতাও থাকে বেশি। এ সময়ে স্টিম ব্যবহার করলে অধিক আর্দ্রতার কারণে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুলে পড়ে যাওয়া সম্ভবনা বেশী থাকে ।
যাঁদের মিশ্র ত্বক স্টিম ব্যবহার নিয়ম।
যাঁদের চুল শীতকালে তৈলাক্ত হয় এবং গরমে শুষ্ক থাকে, তাঁরা ত্বক তৈলাক্ত অবস্থা থাকা কলিন স্টিম ব্যবহার করতে পারবেন না। বছরের একটা সময় হঠাৎ করে যদি মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয় ,তার কারণ হল চুলে সঠিকভাবে শ্যাম্পু না করা।
যে সময়ে আপনাদের ম্টিম দেওয়া উচিত নয় ।
আমাদের স্টিম ব্যবহারের সঠিক সময় হলো গরম ও শীতকাল। অনেকেই সারা বছর স্টিম ব্যবহার করেন, যা একেবারেই সঠিক নয়। কারণ, বর্ষাকালে চুল এমনি ভেজা থাকে, তাই এ সময়ে স্টিম ব্যবহারে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায় ।
গরম ভাপ নেওয়ার নিয়ম
আমরা এখন অনেকেই যন্ত্রের মাধ্যমে চুলে স্টিম দিয়ে থাকি কিন্তু সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, চুলায় জল ফুটিয়ে নিন। সেই জলে এবার তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন।
স্টিমের উপকারিতা
স্টিমের কাজ হচ্ছে মাথার ত্বকের গ্রন্থিগুলোকে খুলে আর্দ্রতা ধরে রাখা। হরমোনের সমস্যার কারণে , নতুন মায়েদের বেশি পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার জন্য চুল পড়ে যায় এবং অ্যালোপেসিয়া বা মাথার ত্বকে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ (ফাঙাল ইনফেকশন) হলে স্টিম দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া ও ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে গেলে নতুন চুল জম্ম নেয় না তাই আর্দ্রতা বজায় রাখতে স্টিম বেশ উপকারী।
ভিটামিন ক্যাপসুল ব্যবহারের পর স্টিম
ভিটামিন ক্যাপসুল ব্যবহারের পর স্টিম দিলে চুলের গোড়া অনেকটাই মজবুত করা হয়। এতে চুল শুষ্ক ও চুলের ক্ষতি হয় না। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও সি ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করে।তারপর স্টিম দিলে চুল তার সঠিক পুষ্টি পায়।
আপনাদের মতামত কমেন্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ