অনবরত হাঁচি? কিছু ঘরোয়া সমাধান
অনবরত হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া- এমনটা হলে বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, এ আর এমন কী! হাঁচি হল একটি এলার্জিজনিত রোগ, কারো কারো ক্ষেত্রে সামান্যতম সমস্যা হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে হাঁচির কারণেই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন। হাঁচির সঙ্গে সম্পৃক্ত রোগ হলো অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও অ্যাজমা। ঠান্ডা লেগে হোক, অ্যালার্জি থেকে হোক বা কোনো গন্ধের কারণে হোক , হাঁচি খুব সাধারণ বিষয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একবার হাঁচি শুরু হলে আর থামতেই চায় না। যেকোনো পরিস্থিতিতেই অনবরত হাঁচি হওয়া সুখকর নয় নিশ্চয়ই। জেনে নিন এমন সমস্যার গুলির ঘরোয়া সমাধান-
যদি আপনার হাঁচি শুরু হওয়ার পর আর থামতে না চায় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে জিংকের সরবরাহ ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে না। চিকিৎসকেরা বলেন হাঁচি যাদের এক নাগাড়ে হতে থাকে, তাদের শরীরে জিংক-এর ঘাটতি রয়েছে। এক্ষেত্রে জিংক সাপ্লিমেন্ট খেলে সমস্যা মিটবে বা মিটে যায় । এক্ষেত্রে বাদাম বা বিভিন্ন বীজ খেতে পারেন। এসবে প্রচুর জিংক থাকে।
আরো জানুন:চুলের জন্য গরম ভাপ এর উপকারীতা জেনে নিন
আমলকি খান নিয়মিতভাবে। কাঁচা আমলকি সারা বছর পাওয়া যায় না তাই শুকনো আমলকি ভিজিয়ে তার রস খেতে পারেন। আমলকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি-কাশির প্রবণতা কমায়। দিনে তিনবার আমলকির রস খান। উপকার মিলবে।
সকালে উঠে খালি পেটে আদা জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। এটি খুবই ভালো অভ্যাস । তবে সেই আদার সঙ্গে তুলসি পাতার রস মিলিয়ে খেলেও এক্ষেত্রে আরো বেশি উপকার পাবেন। সকালে উঠে ৩-৪টি তুলসি পাতা ও এক টুকরো ছোট আদা এককাপ জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জলটুকু খেয়ে নিন ।অনবরত হাঁচি হাত থেকে মুক্তি মিলবে।
আরো পড়ুন-চোখ চুলকানোর ঘরোয়া উপায়।
রসুন আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক। হাঁচির সমস্যা থাকলে উপকার পাবেন রসুনে। অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রসুনের জবাব নেই। ঘিয়ের সঙ্গে রসুন হালকা ভেজে গরম ভাতে মেখে খান, উপকার পাবেন।
আপনার মন্তব্য কমেন্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ